আজ শুক্রবার, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রূপগঞ্জে শিশুকন্যাকে ধর্ষণের পর পরিবারসহ দুইদিন অবরুদ্ধ ॥ পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে উদ্ধার

রূপগঞ্জ সংবাদদাতাঃ-নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৭ বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষনের পর ঘটনা ধাপাচাপা দিতে দুই দিন তালাবদ্ধ করেছে রেখেছে প্রভাবশালী সেই ধর্ষণকারীর লোকজন। এ ঘটনা স্থানীয় পুলিশ ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করলেও জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে দুইদিন পর তাদের বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। গত শনিবার রাতে উপজেলার  কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বড়ালু আড়তদার বাড়ি এলাকায় ধর্ষনের ঘটনা ঘটার পর রবিবার বিকেলে সেখান থেকে ভিকটিম ও তার পরিবারকে উদ্ধার করা হয়।

ধর্ষিতার পিতা জানান, তিনি কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বড়ালু এলাকায় একটি সিএজি অটোরিক্সার গ্যারেজ ভাড়ায় নিয়ে সিএজি অটোরিক্সা মেরামতের কাজ করতেন। এ সুবাধে তিনি স্থানীয় আড়তদার বাড়ির মৃত কাদির মিয়ার ছেলে বাহার উদ্দিনের ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। এদিরক গত শনিবার রাত ৮ টার দিকে তার মেয়ে স্থানীয় বড়ালু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী (৭) ভাড়া বাড়ির পাশে বাড়িওয়ালার নিজবাড়িতে টিভি দেখতে গেলে লম্পট বাড়িওয়ালা বাহারউদ্দিন তাকে হাতমুখ বেধে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে মারত্মক অসুস্থ অবস্থায় বাড়িওয়ালার ছেলেরা শিশুকন্যাকে তার পিতামাতার কাছে দিয়ে যায়। এ সময় ঘটনা কারো কাছে প্রকাশ করলে সকলকে হত্যা করে লাশ শীতলক্ষা নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এরপর একাধিকবার ধর্ষিতার পরিবার নিজেদের ইজ্জত বাচাতে এলাকা ছেড়ে চলে যাবার চেষ্টা করলে ধর্ষণকারীর লোকজন তাদের ধরে এনে তালাবদ্ধ করে রাখে। এরপর থেকেই তার লোকজন ধর্ষিতার পরিবারকে পাহারা দেয়া শুরু করে। স্থানীয় কয়েকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার সকালে রূপগঞ্জ থানার এসআই সাজাউল ইসলাম ধর্ষকের ছেলের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহন করে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষনের ঘটনা আপোষরফা করে ফেলার জন্য উল্টো ধর্ষিতার পিতাকে শাসিয়ে চলে আসেন। পরবর্তীতে বিষয়টি সংবাদকর্মীরা জানতে পেরে তারা জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হককে জানান। পরে এসপির নির্দেশে বিকেল ৫ টারদিকে থানা পুলিশ ভিকটিম ও তার পরিবারকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

এ ব্যাপারে ঘুষ গ্রহনের বিষয়টি অস্বীকার করে এসআই সাজাউল ইসলাম বলেন, সকালে ভিকটিমের পরিবার মামলা করতে রাজি না হওয়ায় আমি কোন ব্যবস্থা না গিয়ে বিষয়টি ওসি স্যারকে অবগত করে ফিরে এসেছি। পরে বিকেলে আবার স্যারের নির্দেশে ভিকটিম ও তার পরিবারকে থানায় নিয়ে আসি।

এব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, কোন অপরাধের ঘটনায় কোন ছাড় নেই। ধর্ষণ বিশেষ করে শিশু ধর্ষণের ব্যাপারে তো নয়ই। যদি ঘটনায় আমার পুলিশের কোন ধরনের গাফিলতি অথবা ঘুষ লেনদেনের চিহ্ন খুজে পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর ভিকটিম ও তার পরিবারকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। নিয়মানুসারেন ভিকটিমের ডাক্তারি পরিক্ষাসহ আইনানুসারে যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের জন্য চেষ্টা চলছে।

 

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ